বড় পরিবহন প্রকল্পে জট পাকিয়ে ফেলেছে সেতু কর্তৃপক্ষ
- চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ অনুমোদনের ৬ মাস পার হলেও চুক্তি না হওয়ায় শুরু হয়নি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ
- নকশা অনুযায়ী ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পড়েছে রেলের এক প্রকল্পের ট্র্যাকের উপর
- ইতাল-থাইয়ের অর্থসংকটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ বিলম্বিত, অর্থসংকটে মেট্রো রেল নির্মাণেও অতিরিক্ত এক বছর সময় চেয়েছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানিটি
- দেশের নির্মাণ ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় নেয়া প্রকল্পটির ৯ বছরে অগ্রগতি মাত্র ২৫.১৯ শতাংশ
- প্রকল্পমূল্যের ২৪% কমে কাজ দেয়ায় বিআরটি-৩ এর দীর্ঘসূত্রতা
- বিআরটি নির্মাণে ঘটছে দুর্ঘটনা, নির্মাণ সামগ্রীর মান ও কাজের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
ঢাকাবাসীকে আধুনিক গণপরিবহনের নিশ্চয়তা দিয়ে শুরু হওয়া বাস রেপিড ট্রানজিট-৩, ঢাকা এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শুরু করে এখন প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করা নিয়েই অনিশ্চয়তায় পড়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের সাথে সমন্বয়ের অভাবে ঢাকা-টঙ্গী রেলপথে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ট্র্যাকের উপর দিয়ে নকশা করা হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের পিলার। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির মগবাজার রেলক্রসিং থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের কাজ। অর্থের উৎস নিশ্চিত না করে বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতিতে থাকা ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডকে কাজ দেয়ায় বিলম্বিত হয়েছে বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত মোট ৪৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি।
এদিকে প্রকল্প মূল্য থেকে ২৪ শতাংশ কম দামে চায়না গেজুবা কোম্পানি লিমিটেডকে কাজ দিয়ে এখন তাদের পেছন পেছন ঘুরছে সেতু কর্তৃপক্ষ। বার বার তাগাদা সত্ত্বেও প্রকল্প নির্মাণে প্রয়োজনীয় টাকা খরচ করছে না কোম্পানিটি। ফলে ঝুলে গেছে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) নির্মাণ। মাত্র ২০ মিনিটে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর আসার ব্যবস্থা করতে নেয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তি উল্টো বাড়ছে।
২০১৭ সালে সিএমসির সাথে চুক্তি হলেও দীর্ঘ তিন বছরে কাজ শুরু হয়নি আশুলিয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। নভেম্বরে এক্সিম ব্যাংক থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ঋণ অনুমোদন করাতে পারলেও গত ৬ মাস ধরে ব্যাংকের সাথে চুক্তি না হওয়ায় এখনো কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
ঠিকাদার মূল্যায়নে অদূরদর্শিতা আর সমন্বয়হীন পরিকল্পনায় প্রকল্প নির্মাণ করতে গিয়ে বিমানবন্দর কেন্দ্রিক সেতু কর্তৃপক্ষের তিনটি প্রকল্পই হয়ে পড়েছে সমস্যাগ্রস্ত। বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য গাজীপুর বিমানবন্দরের মতো ব্যস্ত সড়কের অর্ধেক আটকে রাখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে যান চলাচলে।
বিআরটি
চার বছরের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রতি দিয়ে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০.৫ কিলোমিটার বাস রেপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পের টঙ্গী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নির্মাণের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ সেতু কতৃপক্ষ (বিবিএ)। এ অংশের ব্যয় ৬৫৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২২৫ কোটি টাকায়।
প্রকল্প মূল্য ১,২২৫ কোটি টাকা হলেও ২৪ শতাংশ কম দামে ৯৩৫ কোটি টাকায় ২০১৭ সালের শেষের দিকে কাজ দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজুবা কোম্পানি লিমিটেডকে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি ৫৪ শতাংশ। আর সম্পূর্ণ প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
তবে সরেজমিনে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় শতাধিক স্প্যান ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার মাঝখানে। আশপাশের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বছরের অধিককাল ধরে এগুলো পড়ে আছে রাস্তার উপর। এতে কার্যত ব্যস্ততম মহাসড়কটির দুটি লেন একেবারেই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে। এদিকে টঙ্গী ব্রীজের উত্তর পার্শে গার্ডার বসানোর জন্য যে জায়গা নেয়া হয়েছে তাতে রাস্তার উভয় দিকে একটি করে লেন সচল রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি কম দামে কাজ নেয়ায় নির্মাণ কাজে গড়িমসি করছে। হেড অফিস থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাচ্ছে না কোম্পানিটি। এদিকে কম দামে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা ও দক্ষতার অভাবের প্রশ্ন উঠেছে খোদ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। গত ১৪ মার্চ বিমানবন্দরের সামনে বিআরটির একটি গার্ডার ভেঙ্গে পড়ে ৬ শ্রমিক আহত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা বাস রেপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্মাণ সামগ্রীর মান, নির্মাণের দক্ষতা ও ঠিকাদারের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। আগের দিন ১৩ মার্চও এমন একটি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
বিবিএ অংশের প্রকল্প পরিচালক সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লিয়াকত আলী ঠিকাদারের রিসোর্সের ঘাটতি ও প্রকল্প দীর্ঘায়িত হওয়ায় জনভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, "কন্ট্রাক্টরের কিছু গাফিলতি আছে। তাদের রিসোর্সের ঘাটতি আছে। যদি ওদের হেড অফিস ওদের সাপোর্ট করতো তাহলে ওরা দ্রুত কাজটা সম্পন্ন করতে পারতো। হেড অফিসে চিঠি লিখছি বারবার। গত সপ্তাহেও চিঠি লিখেছি।"
এছাড়া নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান লিয়াকত আলী।
"রিসোর্স ঘাটতি ছাড়াও নির্মাণ কাজে মূল সমস্যা তীব্র যানজট। আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাস লাইন, আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন, অপটিকাল ফাইবার, টেলিফোন লাইন, সুয়ারেজ লাইন সবই আছে প্রকল্প এলাকায়। এগুলো একেবারে জালের মতো ছড়ানো। পাইলিং করে করে এগোতে হয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ইউটিলিটি রিলোকেশন করছে না সময়মতো। ডেসকোর লাইন সরাতে অনেক দেরি হয়," বলেন তিনি।
দ্রুতগামী বাসের জন্য গাজীপুর থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত পৃথক লেন নির্মাণ করতে ২,০৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪,২৬৮ কোটি টাকায়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
এক্সপ্রেসওয়ে ও র্যাম্পসহ ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি ভিত্তিতে নির্মাণ করতে ২০১১ সালে কেবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক এফেয়ার্সের অনুমোদন পায়। তিন ভাগে ২০১৬ সালে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রথম ধাপে বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৪৫ কিলোমিটারের ৬২.৫৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১৪.৯১ শতাংশ আর তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত কোন কাজ এখনো হয়নি।
তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেললাইন থেকে কুতুবখালী যাওয়ার পথে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বদিকে জায়গা নিয়ে রেলওয়ের "ঢাকা-টঙ্গী রেলপথে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ" প্রকল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওখানে এক্সপ্রেসওয়ের একটি পিলারের জন্য জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নকশা অনুযায়ী শাজাহানপুর ফুট ওভার ব্রিজের এখানে এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের জন্য যে জায়গা ছিল, সেখানে রেলওয়ে প্রকল্পের দুটি রেল ট্র্যাক স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক বিষয়টি সমাধানে আশাবাদী হলেও রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক সেই জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, "তেমন কোন সমস্যা হবে না। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সহজেই বিষয়টি সমাধান হবে। নির্মাণ কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে"।
ওদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আফজালুর রহমান বলেন, "আমরা বলেছি মালিবাগ থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য জায়গা দেয়া সম্ভব না। আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তাতে আসলে কাউকেই দেয়ার মতো জায়গা নেই"।
"দুটি প্রকল্প প্রায় একই সময়ে নেয়া হয়েছে," বলেন তিনি।
এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ চুক্তির আগের বছর ২০১২ সালের নভেম্বরে একনেকে অনুমোদন পায় ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন নির্মাণ প্রকল্প।
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ইউটিলিটি স্থানান্তর সম্পন্ন হলেও দ্বিতীয় ধাপে ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ এফডিসি পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে জমি অধিগ্রহন হয়েছে। তবে অতিরিক্ত আরো কিছু জমি লাগবে তা অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮,৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি নামে একটি কোম্পানি গঠন করে ইতাল-থাই। ২৫ বছরে টোল আদায়ের মাধ্যমে বিনিয়োগের টাকা তুলে নেবে তারা। তবে দীর্ঘদিন অর্থের যোগান না করতে পারায় ৩১ শতাংশ ইক্যুইটি মানি আর ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডের (২৭%) টাকায় ধীর গতিতে কাজ করতে থাকে তারা।
এদিকে অর্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়ায় শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক এন্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশন গ্রুপ লিমিটেড ও সিনো-হাইড্রো করপোরেশনে লিমিটেড যথাক্রমে ৩৪ ও ১৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নিলে অর্থের সংস্থান হয়। কোম্পানি দুটি ৭ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করে চীনের দুটি ব্যাংক থেকে।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
জি-টু-জি ভিত্তিক প্রকল্প ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৭ সালে, ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এক্সপ্রেসওয়ে আশুলিয়া থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে মিলবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে।
৬,৯০১ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে ১০,৯৫০ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে চায়না এক্সিম ব্যাংক আর বাকি ৫৯৫১ কোটি টাকা দিবে বাংলাদেশ সরকার। চায়না কনস্ট্রাকশন ফার্ম সিএমসির সাথে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ১২,৫০০ কোটি টাকায় চুক্তি করে সেতু বিভাগ। চুক্তি অনুযায়ী চায়না এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ ম্যানেজ করবে ঠিকাদার। কিন্তু ঠিকাদার ঋণ ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের তিন বছর পরে ২০২০ সালের নভেম্বরে ঋণ অনুমোদন করে চায়না এক্সিম ব্যাংক (স্টেট কাউন্সিল)। তবে জি টু জি ভিত্তিতে প্রকল্প হওয়ার কারণে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডির) মধ্যে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। একই সাথে প্রকল্পটি পুনরায় ডিপিপি প্রণয়নেরও প্রয়োজন রয়েছে যেহেতু সময় বাড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদৌস বলেন, "এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি প্রয়োজন হবে। ড্রাফট তৈরি হয়ে গেছে। আমরা কমেন্ট দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। অল্প দিনের মধ্যে চুক্তি হবে"।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, "একটা প্রকল্পের উপর আরেকটা প্রকল্প চলে যায়, এটা ফিজিবিলিটি স্টাডিতে (সম্ভাব্যতা যাচাই) আসে না কেন! একই জমিতে দুই প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন ধরতে পারে না কেন। যতদিন পর্যন্ত সঠিক ফিজিবিলিটি স্টাডি না হবে, যতদিন পর্যন্ত পরিকল্পনা কমিশন সমন্বিতভাবে প্রজেক্টগুলোকে বিশ্লেষণ না করবে ততোদিন পর্যন্ত এ দুরবস্থা থাকবে। একই সাথে জবাবদিহিতা ও শাস্তির ব্যবস্থা না হলেও অবস্থা্র উন্নতি হবে না"।
অনেক বেশি দামে যেমন কাজ দেয়া ঠিক না, তেমনি কম মূল্যেও কাজ নেয়া ঠিক নয়; ২৪ শতাংশ কম দামে বিআরটির কাজ দেয়ার বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, "দেশে একটি আইন রয়েছে যেখানে ১৫ শতাংশের বেশি কম বা বেশি মূল্যে কোন ঠিকাদারকে কাজ দেয়া যাবে না"।