বাংলাদেশের বাজারে প্রথম পরিবেশবান্ধব জুতা আনল বাটা
দেশের বাজারে প্রথম পরিবেশবান্ধব জুতা নিয়ে এল বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাটা।
প্রতিষ্ঠানটি চার ধরনের পরিবেশবান্ধব জুতা এনেছে এবং রবিবার থেকেই বাটার ১৩টি ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট এবং অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে জুতাগুলো। বাটার পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাটা বাংলাদেশের মার্কেটিং ম্যানেজার ইফতেখার মল্লিক বলেন, "আমরা আশা করছি বাংলাদেশের তরুণেরা এই সৃজনশীল নকশার ফ্যাশনেবল জুতাগুলো পছন্দ করবেন"।
তিনি বলেন, জুতাটির উপরের সোল ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক শতভাগ পুনর্ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এবং বাইরের সোলে ৩০ ভাগ ইথিলিন-ভিনাইল অ্যাসিটেট ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়াও ভিতরের অংশটি (ইনসোল) আরামদায়ক করে তুলতে ৯৮ শতাংশ অর্থোলেটাইট ব্যবহার করা হয়েছে।
"এবং এ সব কিছুই তৈরী করা হয়েছে বাংলাদেশে"।
যদিও বাটা একটি বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারক সংস্থা, বিগত ৫৮ বছর ধরে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির উপস্থিতি একে এ দেশের মানুষের কাছে একটি স্থানীয় সংস্থাতে পরিণত করেছে।
১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে বাটার কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এ দেশে এর দুটি উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে- যার একটি টঙ্গীতে এবং অন্যটি ধামরাইয়ে অবস্থিত।
এর পাশাপাশি বাটা তাদের প্রডাক্ট লাইনে অনেক উঁচুমানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডেরও সন্নিবেশ ঘটিয়েছে- যেমন মারি ক্লেয়ার, এম্বাসাডর, ওয়েনব্রেনার প্রভৃতি। এছাড়া বাটা বাংলাদেশে অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের জুতা আমদানি করে থাকে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাটার বর্তমানে মোট ২৬১টি খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বাটা প্রতিদিন এক মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহকের চাহিদা মিটিয়ে থাকে, এর কর্মীর সংখ্যা ৩০,০০০ এর অধিক; বাটার রয়েছে ৫,০০০ এর বেশি আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র যা ৭০টিরও বেশি দেশে খুচরা বিক্রয় পরিচালনা করে থাকে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে ২০টি দেশে বাটার উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।