বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের জন্য পাঁচ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন
বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খবর সময় সংবাদের।
পরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগত প্রবাসীদের যাদের করোনা টিকার একটি অথবা কোনো ডোজই নেওয়া নেই কিন্তু করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে, তাদের প্রাথমিকভাবে ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
লকডাউন চলাকালে বিশেষ ফ্লাইটে বিদেশফেরতদের চাপ বাড়ছে। অনেকেই হোটেলে না থেকে সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে চান। ফলে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এজন্যই কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিনের বদলে পাঁচ দিন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়, প্রবাসীরা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারের পাশাপাশি চাইলে সরকার নির্ধারিত হোটেলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন।
দেশে আটকেপড়া কুয়েত ও বাহরাইনের কর্মীদের দ্রুত দেশে ফেরাতে এই দুই রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক ফ্লাইটকে বিশেষ ফ্লাইটে রূপান্তর করে প্রবাসীদের সেখানে পাঠানোর ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা স্থলবন্দর দিয়েও দেশে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবে।
আগত প্রবাসীদের মধ্যে যারা করোনা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন এবং যাদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে তারা সরাসরি ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন, যা নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল সে সভায় উপস্থিত ছিলেন।