বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে কোভিড পরিস্থিতি থেকে শিখতে হবে: বিশেষজ্ঞরা
পুঁজিবাদী সমাজ মানুষের মাঝে বৈষম্য তৈরি করে; মানুষকে ভোগ্যপণ্যে পরিণত করে। কোভিড এসে সমাজকে একটা ধাক্কা দিয়ে গেছে। বৈষম্যহীন সমাজের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরছে কোভিড। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথ চলা শুরু করতে হবে।
ড. আবুল বারকাত রচিত " বড় পর্দায় সমাজ –অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে " শীর্ষক বইয়ের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন।
১৩ সিরিজের আলোচনা সভার প্রথম পর্বটি শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আবুল বারকাত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, 'এই বইয়ের মাধ্যমে আবুল বারকাত কোভিডে লকডাউনকালীন সময় বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। কোভিড বা অন্যান্য দুর্যোগ বাংলাদেশের কিছু অংশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে'।
অধ্যাপক বারকাত কোভিড পরবর্তীকালে মানুষের গুরুত্ব, বৈষম্য, সামাজিক মর্যাদা, মানবতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন তার বইতে।
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুর হক বইটির আলোচনায় বলেন, 'বড় পর্দায় নয়, দেশের চোখ দিয়েই আমাদের অর্থনীতিকে দেখতে হবে'।
তিনি বলেন, 'দেশ-কাল না বুঝলে পাঠক কোনো বক্তব্য গ্রহণ করবে না। বারকাত তার বইয়ে অনেক বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন'।
অর্থনীতিবিদ এটিএম নূরুল আমিন বলেন, 'বারকাত সমাজতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে সোভিয়েত সমাজতন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করলে ভালো হতো'। এছাড়া চীন ও ভিয়েতনামের সমাজতন্ত্র নিয়েও আলোচনা করার সুযোগ ছিল বলে তিনি মনে করেন।
তথ্য প্রযুক্তিবিদ মিজানুর রহমান বলেন, 'আবুল বারকাত তার বইতে সমাজের বৈষম্য তুলে এনেছেন। সমাজের ছোট একটা অংশ বিশাল জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে'।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'পুঁজিবাদী সমাজ মানুষকে ভোগ্য পণ্যে পরিণত করেছে। এ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে বারকাত তার বইতে আন্তর্জাতিক শ্রেণির সংগ্রামের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন'।