মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার স্ব-স্ব জেলার জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এ সময় কেউ জেলার ভেতর প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারবেন না।
সোমবার সকালে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে বিকেল ৫টা থেকে তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে কেউ মৌলভীবাজারে প্রবেশ এবং মৌলভীবাজার থেকে বের হতে পারবেন না। তবে জরুরি পরিসেবা চালু থাকবে।
এদিকে, নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম সোমবার দুপুর একটায় এ ঘোষণা দেন। ফলে জেলায় কেউ প্রবেশ কিংবা জেলা থেকে বের হতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
শুক্রবার দুজনসহ এ পর্যন্ত নেত্রকোনায় মোট চারজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরমধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক সোমবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, নেত্রকোনা জেলাকে আজ দুপুর একটা থেকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এর মাধ্যমে জেলায় প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনা নিয়ে মোট ২১ জেলা এখন লকডাউনে। এ ছাড়াও শেরপুর, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, গাজীপুর, গাইবান্ধা, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, জামালপুর, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, সাতক্ষীরা, রংপুর, পিরোজপুর, চাঁদপুর ও নরসিংদী জেলা আগে থেকেই লকডাউনে রয়েছে।