যুক্তরাজ্যের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকাকে অনুমোদন দিল ভারত
ভারতীয় ওষুধ প্রশাসন আজ আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র এব্যাপারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
স্বীকৃতির পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশটিতে টিকাটি জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে দেওয়ার পথে আর কোনো বাধা রইলো না। যুক্তরাষ্ট্রের পর সংক্রমণ সংখ্যায় এখন ভারতই আছে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারত খুব শিগগির টিকাদান শুরু করতে চায়। খুব সম্ভবত আগামী বুধবার নাগাদ তা চালুর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে সরকারিভাবে ঘোষণার আগে এসব শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের নাম না প্রকাশের শর্তে এমন কথা জানান।
ভারতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করবে সেরাম ইন্সটিটিউড। তাদের সঙ্গে গত বছরের আগস্টের শেষদিকে টিকাটি বাংলাদেশের বাজারে বিপণনে চুক্তি করে বেক্সিমকো ফার্মা। যুক্তরাজ্য এবং ভারতে অনুমোদনের পর এখন বাংলাদেশে এর চালান প্রাপ্তির সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়লো।
বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা ইতোপূর্বে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তারা এরই মধ্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত অর্ডার নিশ্চিত করেছেন। আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন আমদানিও বাড়বে। তবে তার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের নিয়ামক সংস্থার কাছে জরুরি অনুমোদন চাওয়া হবে, বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
সরকারিভাবে আনা ৩ কোটি ডোজের পাশাপাশি বেক্সিমকো আমদানি করবে ১০ লাখ ডোজ।
এরপর তা দ্রুত বেসরকারি খাতের সম্মুখভাগের কর্মী এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হবে। প্রাথমিক মূল্য ১২শ' টাকার সঙ্গে সরকার নির্ধারিত অন্যান্য শুল্কও যুক্ত থাকবে।
এদিকে আজদিনের শেষভাগে বা সন্ধ্যারাত্রে ভারতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার (সিডিএসসিও) বিশেষজ্ঞ প্যানেল চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো অনুমোদন নিয়ে বৈঠক করেছে। তবে সংস্থাটির এক প্রতিনিধি এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ব্রিটেনসহ আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যেই টিকাটির জরুরি প্রয়োগে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সিডিএসসিও অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সহ ফাইজার/ বায়োএনটেক এবং স্থানীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধককে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে পর্যালোচনা করে দেখছে।
তবে অন্যান্য কোম্পানির চাইতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধকটি সস্তা এবং তা বিতরণ করাও অপেক্ষাকৃত সহজ। ফলে বৈশ্বিক করোনা প্রতিরোধে যুগান্তকারী সম্ভাবনা যোগ করতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা/ অক্সফোর্ডের টিকাটি।
- সূত্র: রয়টার্স