র্যাগিং: বুয়েটের ৯ শিক্ষার্থীকে আজীবন ও ১৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম এবং আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বুয়েট উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এ কথা জানান।
বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটি বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।
বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর বলেন, “সোহরাওয়ার্দী ও আহসান উল্লাহ হলের র্যাগিংয়ের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি ওই শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।”
সোহরাওয়ার্দী হলে র্যাগিংয়ের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় মো. মোবাশ্বের হোসেন শান্ত, এএসএম মাহাদী হাসান এবং আকিব হাসান রাফিনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ১৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী এবং মো. ফরহাদ হোসেনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার এবং আহসান উল্লাহ হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এই হলের চার আবাসিক শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
অধ্যাপক মিজানুর বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দাবি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সমাধান করা হবে।
শিক্ষার্থীদের তৃতীয় দাবি হলো- একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি ও নির্যাতনের বিষয়ে শাস্তির আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি দাবি পূরণ হলো। এর আগে আবরার হত্যায় জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিও পূরণ করা হয়।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) গত ৬ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কয়েকজন নেতাকর্মী।