লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, গাজীপুর-এর হাজতি বন্দি নং-৯২৭/২০২০ মোস্তাক আহম্মেদ (মুশতাক আহমেদ) (৫৩)-এর মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিমিত্তে কমিটি গঠন' করা হয়েছে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদারকে ওই কমিটির আহ্বায়ক এবং একই বিভাগের উপসচিব আরিফ আহমদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আবুল কালাম, ময়মনসিংহের কারা উপমহাপরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর কবির এবং গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার।
কমিটির কার্যবিধি হিসেবে লেখা হয়েছে, 'উল্লেখিত হাজতি বন্দির মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার গাফিলতি ছিল কি না? যদি থাকে, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ' এবং 'উক্ত বন্দি কারাগারে আসার পর তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন কি না? যদি থাকেন, সে বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না? যদি না হয়ে থাকে, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ।'
কমিটিকে আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ৫ মে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিনই কিশোর-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক। মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ভুল তথ্য ও গুজব প্রকাশ করেছে, যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।
ওই মামলায় দুজনের জামিন হলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিনের আবেদন ছয় বার প্রত্যাখ্যাত হয়। গত বৃহস্পতিবার কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান মুশতাক আহমেদ।