সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও র্যাবে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার।
এর আগে শুরুতে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদকে এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। তার স্থলে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসেছেন খায়রুল ইসলাম।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেন, "৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলায় (জিআর-৭০৩/২০২০, টেকনাফ থানার মামলা নং-৯/২০২০) তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নতুন নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম মেধা সম্পন্ন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। অতীতে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলার আইও হিসেবে তিনি সুনাম ও সফলতার সঙ্গে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।"
তিনি আরো বলেন, "রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া চার পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং সন্দেহজনক তিন অভিযুক্ত টেকনাফের বাহারছরার মারিশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজুর ছেলে নুরুল আমিন, নজির আহমদের ছেলে নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছকে নতুন আইও খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে জেলা কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।"
এর আগে গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার ফটকে চার অভিযুক্ত- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান তদন্ত কর্মকর্তা । ফলে তাদেরকে আরো ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১২ আগস্ট শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহ্।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সমস্যার কারণে সিনহা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন জানান, মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা পুলিশের চার সদস্য ও অপর একটি মামলার (স্বাক্ষী) তিন অভিযুক্তসহ মোট সাত জনকে কারাগার থেকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।