সৈকতে ভেসে আসা বর্জ্য পরিস্কারে কক্সবাজার প্রশাসন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য পরিষ্কারে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
বুধবার সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের শতাধিক কর্মী নিয়ে সৈকত পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন জেলা প্রশাসক ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন। সৈকতের দরিয়ানগর এলাকা থেকে এ পরিষ্কার অভিযান শুরু করা হয়।
এ সময় ডিসি বলেন, ভেসে আসা নানা ধরণের বর্জ্য সৈকতকে দূষিত করেছে। কারণ, এসব বর্জ্যের বেশিরভাগই বোতলজাত ও প্লাস্টিক দ্রব্য। যা আমাদের দেশে ব্যবহার হয় না। এ বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবশে অধিদপ্তরসহ প্রায় ১১টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী নিয়ে সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে হিমছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পড়ে থাকা বৈর্জ্য অপসারণ করার কাজ শুরু করেছি।
দরিয়ানগর এলাকায় বিচ পরিষ্কারে নেতৃত্ব দেওয়া আনছার হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন বর্জ্য সৈকতে ভেসে আসে। কিন্তু এবারে অতিমাত্রায় মদের বোতল, প্লাস্টিকসহ অপচনশীল পদার্থ এসেছে। যা কখনো দেখেনি স্থানীয়রা। সঙ্গে ভেসে আসছে মৃত সামুদ্রিক কাছিমসহ নানা উভয়চর প্রাণীও। বিভিন্ন সংগঠনের মতো আমরা স্থানীয় প্রায় শতাধিক যুবক জেলা প্রশাসনের সাথে সৈকত পরিষ্কারে নেমেছি।
টিম কক্সবাজারের সমন্বয়ক নাজমুল হক বলেন, গত কয়েকদিনে নাজিরারটেক থেকে হিমছড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকার বৈর্জ্য অপসারনের পাশাপাশি মৃত কাছিম ও বন্যপ্রাণী মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে প্রায় দু'ডজন জীবিত কাছিম। আমরা আমাদের কক্সবাজারকে পরিষ্কার রাখতেই কাজ করছি এবং করে যাব।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুল হুদা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) ইমরান জাহিদসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।