স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ
পুলিশের ব্যারিকেড অতিক্রম করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের আন্দোলনকর্মীরা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃত সব আন্দোলন কর্মীর মুক্তির দাবিতে আজ শুরু হয় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি।
সোমবার বেলা ১২ টায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর একটি মিছিল রাজু ভাস্কর্য থেকে শহীদ মিনার হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এদিকে শাহবাগ থানার সামনে জলকামান ও সাজোয়া যান প্রস্তুত রেখেছে পুলিশ। মন্ত্রণালয়ের পথে একটি রাস্তাও অবরোধ করে রেখেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান,"পুলিশ ইতোমধ্যেই কিছু জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে, তারপরও আমরা স্ব বাধা পেরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবো,"
"ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির আগ পর্যন্ত আম,আমাদের আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব আমরা।" বলেন তিনি।
মিছিল শুরু করার আগে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, "গণতন্ত্রের মোড়কে এই সরকার দমনমূলক আইন দিয়ে স্কুল ছাত্র থেকে শুরু করে সকল নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, বিপন্ন করেছে তাদের বেঁচে থাকার স্বাধীনতা, বিপন্ন সেই স্বাধীনতা।"
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, "আমার গ্রেপ্তার হওয়ার শপথ করেই আজ রাস্তায় নেমেছি। যত রক্তই ঝড়ুক না কেন, আমরা এধরনের কাজ আর সহ্য করবো না।"
কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর শাহবাগে সাতজন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তারের পর এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
সাড়ে ১২ টায় মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশের ব্যারিকেড উপেক্ষা করে মিছিলটি এগিয়ে যায় সচিবালয়ের দিকে। সেখানে আবারও ব্যারিকেড আর পুলিশের প্রতিরোধের সম্মুখীন হলে পুলিশের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের পর পুলিশের ব্যারিকেডের মুখোমুখি সচিবালয় এর মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনের কর্মীরা।