হেফাজতের আমির আল্লামা শফীর কার্যালয় ভাঙচুর
চট্টগ্রামের জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী বড় মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবারের মতো ফের আন্দোলনে নেমেছেন তারা। আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বৃহস্পতিবার সকালে মাইকিং করে সাধারণ ছাত্রদেরকে আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মাদরাসা গেটের বাইরে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে গণপিটুনির শিকার হন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী।
হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক মাওলানা আ ন ম আহমদ উল্ল্যাহ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২০-৩০ জন 'বহিরাগত' হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা আহমদ শফীর দপ্তরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা অফিসের আসবাবপত্র, ফার্নিচার ও জানালার গ্লাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় তারা আহমদ শফীর নাম উল্লেখ করে অশালীন ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।"
তিনি আরও বলেন, কোনো ছাত্র 'আলেম সমাজের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির' দপ্তরে হামলা চালাতে পারে না। একটি 'কুচক্রিমহল' পরিকল্পিতভাবে 'বহিরাগতদের' দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, হাটহাজারী মাদরাসায় ফের আন্দোলন এবং হেফাজত আমিরের কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও মাদরাসার সব গেট বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, 'আমরা মাদরাসার বাইরে অবস্থান করছি।'
স্থানীয়রা জানান, হাটাহজারী মাদরাসার পরিচালক হেফাজত ইসলামীর আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে বুধবার থেকে আন্দোলন করেন ছাত্ররা। তাদের দাবির মুখে বুধবার মাদরাসার মজলিসে শুরার বৈঠকে আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা মাদরাসার পরিচালক পদ থেকে আল্লামা শফীকে সরিয়ে উপদেষ্টা করা এবং নতুন পরিচালক নিয়োগের দাবি জানান।