ঈদের দিনে গরু বেচাকেনা চলছে গাবতলী হাটে
ঈদের দিন ভোর থেকেই বেচাকেনা চলছে গাবতলী হাটে। সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১১ টা ২০ পর্যন্ত হাট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা ভির করছেন হাটে।
ক্রেতারা বলছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম বেশি থাকায় তারা কিনতে পারেননি। এখন ঈদের দিন এসেছেন কিনতে।
কেরানিগঞ্জ থেকে গাবতলী হাটে এসেছেন আব্দুল মজিদ। ভোর ৬ টায় এসেছেন কিন্তু এখন পছন্দের গরু কিনতে পারছেন না।
আব্দুল মজিদ বলেন, দুই দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন হাটে ঘুরছি, বিক্রেতা ছোট গরুর দামই ছাড়ছেন না।
"গত বছর যে গরু কিনেছি ৪০ হাজার টাকায় এবার সে গরু দাম চায় ৬৫ হাজার টাকা।"
রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে আনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে হাটে এসেছেন। আনোয়ারা বলেন, দাম বেশি থাকায় আগে কিনতে পারিনি। ভোরে এসেছি এখন বেলা ১১ টা বাজে কিনতে পারছি না।
গতকাল থেকে রাজধানীতে হাটে ছোট গরুর সংকট ছিল। এ সংবাদ পেয়ে রাতেই পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে অনেকে গরু নিয়ে এসেছেন হাটে।
আলমগির হোসেন বলেন, রাত ১০ টায় মানিকগঞ্জ থেকে ১০ টি গরু নিয়ে এসেছি। সবগুলো এক লাখের নিচে দাম ছিল।
সুরুজ মিয়া মানিকগঞ্জ থেকে ৪ টি গরু এনেছেন ২ টি বিক্রি করেছেন। রাত ১০ টায় রওয়ানা দিয়ে হাটে এসেছেন রাত ৩ টায়।
তিনি বলেন, বাজারে ছোট গরুর সংকটের খরব শুনে চারটি গরু ২ লাখ ১০ হাজার টাকায় কিনে বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু এখন দাম স্বাভাবিক। তাই আমার তেমন লাভ থাকবে না। দুইটি ১ লাখ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। গতকাল উত্তরা হাটে ৪ টি গরু বিক্রি করেছিলাম সেখানে ৫০ হাজার লাভ ছিল।
মিরপুর থেকে মোহম্মদ রাজু হাট থেকে দুইটি গরু কিনেছেন। রাজু বলেন, দুই দিন এ হাটে এসেছিলাম দাম বেশি থাকায় কিনতে পারি নি। এখন দুইটি গরু কিনলাম। একটি ৯০ হাজার ৫০০ টাকা, অন্যটি ৯৫ হাজার টাকা। এমন গরু গতকাল এক লাখ ২০ হাজার ছিল ।
গাবতলী গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে হাট প্রায় ফাঁকা । তবে শেষ মুহূর্তেও বাড়েনি বড় গরুর দাম। বড় আকারের ১০০ টির মতো গরু রয়েছে।
রাজশাহী থেকে ৪ টি গরু এনেছেন মোহম্মদ এনামুল। সব গুলো গরু বড় আকারের। ৩ টি বিক্রি হলেও একটি এখনও বিক্রি করতে পারেননি তিনি। এনামুল বলেন, এবার বড় গরুর দাম কম ছিল। যে ৩টি গরু বিক্রি করেছি তাতে লাভ থাকবে না। ১৬ মণ ওজনের যে গরুটি অবিক্রিত রয়েছে সেটার দাম সকালেও ৪ লাখ বলেছে বলে জানান এনামুল।
তিনি বলেন, ৪ লাখ ৫০ হাজার হলে বিক্রি করবো।
বেলা ১১ টার দিকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ষাঁড় কিনেছেন মোহম্মদ তাহের। তিনি মগবাজার এলাকা থেকে এসেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল তো এমন গরুর দামই বলা যায়নি। আর বিক্রেতা আউব আলী বলেন একটি গরুই এনেছিলাম। গতকাল ৬ লাখ বলেছিল দেইনি। আমার গরুটি বিক্রি করে লস হয়েছে।
হাট থেকে অনেককে ছাগলও কিনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে ছাগলের দাম স্বাভাবিক ছিল বলে জানান ক্রেতারা।