ট্রাক ধর্মঘটে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে অচলাবস্থা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকামে। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মোকামে ট্রাক মালিকদের ধর্মঘটের ফলে মোকামে ধানের বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।
ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মোকামের প্রায় ১ হাজার শ্রমিক।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভারত থেকে চাল আমদানির কারণে গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে বেচাকেনা কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
এখন মোকামে নতুন সংকট তৈরি করেছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। লোকসানের কারণ দেখিয়ে মোকাম থেকে ধান পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাক মালিকরা। প্রতি বস্তা ধান পরিবহনে আরও ৩ টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তারা।
রোববার সকালে সরেজমিন মোকামে গিয়ে দেখা যায়, ধর্মঘটের কারণে ধান পরিবহন বন্ধ থাকায় মোকামে বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে। এতে করে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ ধানের মোকাম। দূরদূরান্ত থেকে ধান নিয়ে আসা বেপারীরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনি বেকার হয়ে পড়েছেন মোকামের প্রায় ১ হাজার শ্রমিক।
আশুগঞ্জ উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আশরাফ আলী জানান, আগে যে ভাড়া ছিল তাতেও লোকসানে ট্রাক চালাতে হয়েছে। এখন জ্বালানি তেলের দর যে হারে বেড়েছে, তাতে ট্রাক চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ভাড়া না বাড়ালে ধর্মঘট চলতে থাকবে।
তবে মোকামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্রাক মালিকদের সাথে আলোচনা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া বাড়লে প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। তখন চালের দাম বাড়বে।
আশুগঞ্জ উপজেলা অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সদস্য হাসান ইমরান জানান, ট্রাকের ভাড় বাড়লে এর প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। কারণ পরিবহন খরচ বাড়লে গড়ে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ মোকামে ধানের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়। আর বাকি সময় বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার মণ ধান। বর্তমানে মোকামে বিআর-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে ১০৮০ থেকে ১১০০ টাকা। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯১০-৯২০ টাকা।