৪৫ ঘণ্টা পর নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
সরকারের আশ্বাস এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অনুরোধের পর ৪৫ ঘণ্টা ধরে চলা নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট। শ্রমিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার পর গতকাল শনিবার ধর্মঘট রাতে প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম টিবিএসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শ্রমিকরা ইতিমধ্যে কাজে ফিরে গেছেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠা-নামর কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
চাঁদপুরে একটি লাইটার জাহাজে সাত নাবিককে হত্যার বিচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ এবং নৌপথে নিরাপত্তা উন্নয়নের দাবিতে ডাকা হয়েছিল এই ধর্মঘট।
ধর্মঘটের ফলে দেশের বিভিন্ন সমুদ্র, নদী ও লাইটার জাহাজ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে প্রায় ১৫ লাখ টন আমদানিকৃত পণ্য আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) জানিয়েছে, ধর্মঘট চলাকালে দেশজুড়ে ৫৭টি জেটিতে ১০ লাখ টনেরও বেশি পণ্যবাহী ৭৩৮টি জাহাজ অলস পড়ে ছিল। তবে এখন কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে এসেছে এবং এসব জাহাজের চলাচল শুরু হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে নোঙর করা ২০টি মাদার ভেসেল আনলোডিংয়ের অপেক্ষায় ছিল। এসব জাহাজে মোট ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২০০ টন পণ্য ছিল।
এদিকে ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর বিডব্লিউটিসিসি থেকে লোডিং অর্ডার পাওয়া ৬২টি লাইটার জাহাজও ধর্মঘটে পড়েছিল। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর এখন জাহাজগুলো পুনরায় পণ্য লোডিং শুরু করবে এবং গন্তব্যে রওনা দেবে।