চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা: দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত বেঙ্গল টাইগারের চার সাদা শাবক
রয়েল বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে জন্ম নেওয়া নতুন চার সাদা শাবক পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদাকে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘের শাবক দেখতে দর্শকরা ভিড় করছেন।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে জন্ম নেওয়া নতুন চারটি বাঘ শাবকই বিরল প্রজাতির, শাবকগুলোর বয়স একমাস পূর্ণ হয়েছে। সোমবার শাবক ও মা বাঘকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।'
'বর্তমানে চারটিই শাবকই সুস্থ আছে। এদের প্রতিটির ওজন দেড় কেজি, যা জন্মের সময় ছিলো ৮০০-৯০০ গ্রাম। বাঘশাবকরা মায়ের দুধই পান করছে, একই সঙ্গে বাঘের স্বভাবজাত খাবার খাওয়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাদের', বলেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
শাবকগুলো সাদা হলেও, এগুলোর বাবা-মা সাদা রঙের নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে- সাদার মধ্যে কালো রঙের ডোরাকাটাযুক্ত এ ধরনের বাঘের জন্ম প্রাণিবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে খুবই ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০০৩ সালে প্রথমবারের মত ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে দুটি বাঘ আনা হয়েছিল। ২০০৬ সালে বাঘ 'চন্দ্র' মারা যায়। ২০০৯ সালে তার সঙ্গী 'পূর্ণিমার' ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পূর্ণিমা মারা যায়। এরপর বাঘশূন্য ছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির বাঘ রাজ-পরীকে আমদানি করা হয়। বাঘগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম 'প্যানথার টাইগ্রিস টাইগ্রিস'।
২০১৮ সালের ১৯ জুলাই রাজ-পরীর ঘরে জন্ম নেয় বিরল সাদা বাঘ, যার নাম রাখা হয়েছিলো শুভ্রা। শুভ্রা ছিল বাংলাদেশের প্রথম সাদা বাঘ।