৬৩ কন্টেইনার নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করছে কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ৬৩ কন্টেইনার নষ্ট খাদ্য পণ্য ধ্বংস করছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী এই ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আনন্দ বাজার এলাকায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর বন্দর থেকে সরানো হচ্ছে খালাস না হওয়া পণ্যবাহী কন্টেনার।
গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এত উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই বৈঠকের পর চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না হওয়া দীর্ঘ দিনের পুরোনো পণ্য সরাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহবায়ক করা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক এবং সদস্য সচিব করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনারকে।
চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, বন্দর ভবনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের অংশ হিসেবে বন্দর থেকে নষ্ট হওয়া পণ্যবাহী কন্টেইনার সরানো হচ্ছে। এ সপ্তাহে ৬৩ কন্টেইনার পণ্য মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হবে। এসব কন্টেনারের বেশিরভাগই পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য। ধ্বংস কার্যক্রমটি সমন্বয় করছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
এই ৬৩ কন্টেনইনার ছাড়াও আরো ৩৮৫ কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আনন্দ বাজার এলাকায় শুরু হবে এই ধ্বংস কার্যক্রম।
এ কার্যক্রম শেষ হতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন।
গত ২৮ জুলাই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দরে নিলামের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৭ হাজার ৫১১ টিইইউস কন্টেইনার। এর মধ্যে বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে ২৭২ কন্টেইনারে।
আমদানিকারকরা অনেক সময় বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারি নেন না। এছাড়া শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানির চেষ্টা করলে শারীরিক পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষ কিছু পণ্য আটক করে।
নিয়ম অনুযায়ী, আমদানিকারকদের ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের আমদানির টাকা না পেলে কাস্টমস হাউস সেসব পণ্য নিলাম করে।
যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে নষ্ট হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে।