৫০০ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর চক্রকে শনাক্ত করেছে কলাবাগান থানা
সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি আবাসিক ভবনে চুরির ঘটনা ঘটে। নান কৌশল অবলম্বন করে চোর চক্রটি পুলিশেকে চ্যালেঞ্জে ফেলে। ঘটনাস্থলে কোন ক্লু না থাকায় এবং ভবনের আশেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ না পেয়ে বিকল্প ভাবে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর কলাবাগান, ধানমন্ডিসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকার ৫ শতাধিক সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রটিকে শনাক্ত করে তারা।
এরপর সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কলাবাগান ও আদাবর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মোঃ সোহেল, মোঃ ফরহাদ, মোঃ ইলিয়াছ শেখ ও মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার। এসময় ৩টি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, ৩টি ম্যাগাজিন, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আগস্টের ২০ তারিখে লেক সার্কাস ডলফিন গলিতে রাত ১টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রীল কেটে ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশেপাশের ৫ শতাধিক সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলির হতে সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াচকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ারুল ইসলামকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের অপরাধের কৌশল সর্ম্পকে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এদের কেউ ভ্যানে করে ডাব, সবজি বা ফল বিক্রেতা সেজে ফাঁকা বাসা টার্গেট করে। পরবর্তী সময় সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে চুরি করে। আর চুরি করার সময় কোন ধরনের বাধা আসলে ভিকটিমদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয় তারা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাবে। এজন্য গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় বলেন জানান ডিসি শহিদুল্লাহ।