দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সকাল ১১ টা ২৭ মিনিটে হাসপাতালের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি
এর আগে, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অত্যাধুনিক বিশেষায়িত এই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন এই হাসপাতালে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ১১টি মডুলার অপারেশন থিয়েটার। এছাড়া, বিভিন্ন বিভাগসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিশ্বমানের সেন্টারও থাকবে এখানে।
পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে- কার্ডিও এবং সেরিব্রোভাসকুলার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, কিডনি রোগ চিকিৎসা কেন্দ্র, দুর্ঘটনা ও জরুরি বিভাগ এবং একটি ১০০ শয্যার আইসিইউ।
সেন্টার-বেজড বা কেন্দ্রভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটিই হবে দেশের প্রথম হাসপাতাল।
কেন্দ্রভিত্তিক চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার রহমান খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, একজন রোগী পাঁচটি কেন্দ্র থেকেই বিস্তৃত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন, কারণ প্রতিটিতেই আলাদা আলাদা বিভাগ থাকবে।
কার্ডিও এবং সেরিব্রোভাসকুলার সেন্টারে কার্ডিওলজি, কার্ডিয়াক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি এবং ভাস্কুলার সার্জারিসহ কার্ডিয়াক রোগের বিস্তৃত চিকিত্সা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালটিতে ৬টি ভিভিআইপি কেবিন, ২৩টি ভিআইপি কেবিন এবং ডিলাক্স কেবিন সহ মোট ৬৪টি কেবিন থাকবে।
এছাড়া, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান, এমআরআই যন্ত্র থেকে শুরু করে সমস্ত পরীক্ষা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে নতুন এই হাসপাতালে।
বিএসএমএমইউ'র উত্তর পাশে ৩.৪ একর জমির ওপর ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে। মোট নির্মাণ খরচের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ঋণ হিসেবে দিয়েছে ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা।
বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের উদ্বোধনকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটি দেশের স্বাস্থ্য খাতে একটি বড় অর্জন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে রোগীরা দেশেই উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পাবে এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে। এতে মানুষের দুর্ভোগ ও চিকিৎসা ব্যয় উভয়ই কমবে।