চট্টগ্রামে বিদ্যুৎহীনতায় ব্যবসা-বাণিজ্য, জনজীবনে অচলাবস্থা
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে নজিরবিহীন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামে। গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকান-পাট, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিরাজ করছে অচলাবস্থা। অফিস-কারখানা, দোকানপাট ও হাসপাতালগুলো জেনারেটর থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। সন্ধ্যের পর থেকে প্রায় পুরো চট্টগ্রাম শহর অন্ধকারে ডুবে আছে।
তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বিকেল দুইটার পর থেকে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ নেই। প্রায় তিন ঘন্টার মত জেনারেটরে কারখানা চালানোর পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ পোশাক কারখানাগুলোয় কর্মীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব কারখানা টেক্সটাইল ও ওয়াশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে- তারা বিদ্যুতের কারণে বড় ধরনের সমস্যা পোহাচ্ছে। যদি বিপর্যয় আগামীকাল পর্যন্ত থেকে যায়- তাহলে রপ্তানিখাতে বড় সমস্যা তৈরি হবে।'
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, 'জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বন্দরের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ করে পরিচালন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।'
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, 'দুপুর দুইটা থেকে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের সাহায্যে আইসিইউ, সিসিইউ, অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। তবে বহির্বিভাগে রোগী দেখতে একটু সমস্যা হচ্ছে'।
চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের সাহায্যে বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।