ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা
ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদ্দৌলাহ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ (১৫ অক্টোবর) ঢাকা এসেছেন। বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সুলতান ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী একটি বিশেষ ভিভিআইপি বিমান (রয়েল ব্রুনাই) আজ বেলা ২টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ব্রুনাইয়ের সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
ব্রুনাইয়ের রাজকীয় পরিবারের সদস্য, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সুলতানের সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় এসেছেন।
চলমান করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাষ্ট্রপতি হামিদ ব্রুনাইয়ের সুলতানকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
সফররত প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও এ অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল ২১ বার তোপধ্বনিসহ সুলতানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে এই প্রথম বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের উত্তর উপকূলে স্বাধীন ইসলামি সালতা ব্রুনাইয়ের সুলতান ঢাকা সফরে আসলেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ এবং সুলতান ওয়াদ্দৌলাহ উভয়েই নিজ নিজ দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় অস্থায়ী অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান উপভোগ করেন।
রাষ্ট্রীয় অতিথি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে উভয়েই নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের একে অপরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্ত্থনা অনুষ্ঠানের পর সুলতান রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে যান।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সুলতান।
সেখানে তিনি একটি চারা গাছ রোপণ এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন।