বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকলে কারাদণ্ডের বিধান রেখে খসড়া আইনের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা
পরিবহন ও জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে অবৈধভাবে ধর্মঘট ডাকলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে মন্ত্রিসভা আজ 'অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা আইন, ২০২২'-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সরকার কোন বিষয়গুলোকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করবে, সে বিষয়ে আইনটির ১৪টি ধারার মধ্যে ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে। আরেকটি ধারায় ধর্মঘট, লকডাউন বা লেঅফ নিয়ে বলা হয়েছে।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'অনেক সময় শিল্প প্রতিষ্ঠানে লে-অফ বা নক আউট করা হয়। সরকার যদি মনে করে এগুলো জাস্টিফায়েড না তাহলে এগুলো নিষিদ্ধ করতে পারবে।'
স্থল, জল, রেল ও আকাশপথের যাত্রী বা পণ্য পরিবহনও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে বিবেচিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যদি কেউ অযৌক্তিকভাবে ধর্মঘট বা হরতাল কার্যকর করে বাস বা ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়, তবে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। এটি অমান্য করলে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।'
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'কেউ যদি এ জাতীয় অপরাধ করে, তাহলে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। আবার কেউ যদি বেআইনি ধর্মঘট চলমান রাখার জন্য সমর্থন দেয়, তাহলে এক বছরের কারাদণ্ড ও অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল সেবার মতো কিছু প্রয়োজনীয় সেবার কথা বলা হয়েছে। 'সরকার মনে করে এই সেবাগুলো যখন খুশি তখন বন্ধ করে দিতে পারবে না।'