দেশে অবশিষ্ট গ্যাস ১০.৮ বছর ব্যবহার করা সম্ভব: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
দেশে বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিবেচনায় গ্যাসক্ষেত্রের অবশিষ্ট গ্যাসে ১০.৮ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, 'দেশে উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ ২৮.৫৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাসের পরিমাণ ১৯.৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।'
বর্তমানে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুত ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ও গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিবেচনায় অবশিষ্ট গ্যাসে ১০ দশমিক ৮ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ৬২ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বাকি আবাসিকে পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
কাজী নাজিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে সংযোগকৃত অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী চাহিদা দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০০ ঘনফুট। এর বিপরীতে দৈনিক উৎপাদন গড়ে ২ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
অবকাঠামোগত সক্ষমতা থাকলেও বৈশ্বিক সংকটে দৈনিক কমবেশি ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট সমপরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রাহকদের চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সংকটের পরিমাণ দৈনিক গড়ে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিজেল বিক্রিতে বিপিসি লিটারপ্রতি ২১ টাকা লোকসান দিচ্ছে।
"ভবিষ্যতে যখনই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমবে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হবে।"