চাল চকচকে করতে গিয়ে ১৬-১৭ লাখ টনের ঘাটতি: খাদ্যমন্ত্রী
মিনিকেটের মত বাজারে যেসব চকচকে চাল রয়েছে এগুলো সাধারণত চালকে 'পলিশ' করে করতে হয়। এই পলিশ করতে গিয়েই মাঝ থেকে ১৬-১৭ লাখ টন চালের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একদিকে চালে ঘাটতি, অন্যদিকে পলিশ করার কারণে পুষ্টিগুণের কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে খাদ্যমন্ত্রী চকচকে চাল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে "বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা" শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে পুষ্টিচালের বাজারজাতের উদ্বোধন করা হয়।
পুষ্টিচালের বিষয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, "কৃষি গবেষকেরা উন্নত জাত উদ্ভাবন করায় দানাদার খাবারসহ মাছ-মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাল থেকে আগে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যেত। তখন মাছ, মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম না। এখন কেন চালে অনুপুষ্টি মিশাতে হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে।"
তিনি বলেন, "পুষ্টিচাল যেন সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।"
উল্লেখ্য, পুষ্টিচালে যুক্ত করা হয়েছে আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ফলিক এসিড প্রভৃতি। সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে এই চাল সহজলভ্য করার জন্য আপাতত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় কেন্দ্র ও সুপার শপে সরববরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে তারা ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজার, আগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চালডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটসমূহে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।