পর্যাপ্ত সরবরাহে সবজির বাজারে স্বস্তি
রাজধানীতে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ কিছুটা স্বস্তি এনেছে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখীতার বাজারে।
ফুলকপি, শিম, পাতাকপি, ঢেঁড়স, বেগুন, কাঁচামরিচ, পেঁপে, নতুন আলুর দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা।
গত সেপ্টেম্বরে আগাম জাতের শিম প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। এখন সেই শিমের কেজি ৪০ টাকা। আর গত আগস্টে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২০০ টাকা, এখন সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া, অক্টোবরের শেষ দিকে কারওয়ান বাজার, মগবাজারে লাল শাক ও পালং শাক প্রতি আটি ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন সেই শাক বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা আটি।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতের সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে রাধজানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা এবং করলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কল্যাণপুরের সবজি বিক্রেতা মোহম্মদ মোশাররফ জানান, সবজির কমলেও সে তুলনায় বিক্রি বাড়েনি।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় মোহম্মদ রুবেল হোসেন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, সবজির দাম কমলেও অন্যন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। ফলে সংসার পরিচালনার খরচ বেড়েই যাচ্ছে।
রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, মুন্সীগঞ্জে, পাবনা ও যশোর, জামালপুর ও ঝিনাইদহ, রাজশাহীতে সবজি উৎপাদন বেশি হয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লাউ, ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, ধনিয়া পাতাসহ শীতের সবজিতে এখন বাজার ভরে গেছে।
পোলার চাল কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা
কারওয়ান বাজারে ইয়াসিন জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী আলী হোসেন জানান, পোলাও চালের দাম প্রতি কেজিতে ৬ টাকা বেড়েছে।
"১২৮ টাকা কেজির চাল এখন ১৩২ টাকা পাইকারি কিনতে হচ্ছে আমাদের। ২ টাকা লাভে প্রতিকেজি পোলাও চাল এখন আমরা বিক্রি করছি ১৩৪ টাকায়," বলেন তিনি।
এ দোকানে ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ২ কেজি ১৪৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
বাজারগুলোয় চালের দাম এখনও বাড়তি। প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়, বিআর আটাশ ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায় এবং মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রিতা মোহম্মদ রনি বলেন, এখন চালের মৌসুম হলেও দাম কমেনি। মিল মালিকরা দাম না কমালে চালের দাম কমবে না।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি; খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১,০০০ টাকা; ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা ও পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে।