২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন ৫,৮৯১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী
বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীদের একটি কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার পূর্ব এশিয়ার দেশ- দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২২ সালে দেশটিতে ৫ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি গেছেন, যা একটি রেকর্ড।
গতবছরে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ থেকে স্বল্প ও মধ্যম মানের দক্ষতার এসব শ্রমিক নেয় দেশটি।
চলতি বছরের প্রথম ব্যাচের কর্মীরা ৩ জানুয়ারি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান একটি বিমান সংস্থার চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
মধ্যরাতের ফ্লাইটে যে ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৬৯ জনই হলেন নতুন, বা তারা প্রথমবারের মতো সেদেশে যাবেন। বাকি ২৩ জন আগেও সেখানে কাজ করেছেন।
এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি বছরে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০-১২০ জন অভিবাসী শ্রমিক দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ইপিএসের মাধ্যমে বিদেশি কর্মী গ্রহণ বন্ধ রাখে সিউল। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আবারও এই কর্মসূচির অধীনে শ্রমিক নেওয়া শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত, মোট ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাসে ন্যূনতম ১,৪২০ মার্কিন ডলার আয়ের সুযোগ থাকায়, বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আইনিভাবে দেশটিতে ন্যূনতম এ মজুরির নিশ্চয়তা রয়েছে। এর সঙ্গে ওভারটাইম মিলিয়ে মাসিক বেতন দুই-তিন হাজার ডলারও হতে পারে।
এছাড়া, বিদেশি কর্মীদের চার ধরনের সামাজিন নিরাপত্তা গ্রহণে উৎসাহিত করে দক্ষিণ কোরিয়া। এরমধ্যে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের বিমাও রয়েছে।