প্রাথমিকভাবে ২,০০০ লোক নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করছে বেজা
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ২ হাজার জনকে নিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিটি শুরু হবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের প্রাধান্য দিয়ে ২ হাজার জনের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
"পরবর্তীতে স্কিল ভাউচার প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের দক্ষ জনবলের চাহিদা অনুযায়ী ২০ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে," রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে 'অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেকসই ব্যবসা পরিচালনার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন' শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে ৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২২ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল অন্ট্রাপ্রেনারশিপ (প্রিড) প্রকল্পের অধীনে চাকরির ব্যবস্থা করবে বেজা।
কর্মশালায় বলা হয়, বেজা প্রাথমিকভাবে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে গার্মেন্টস ও গার্মেন্ট সহায়ক শিল্প, কৃষি-পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, রং ও রাসায়নিক, কাগজ ও কাগজজাত পণ্য, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারং (অটো-পার্টস এবং সাইকেল সহ), জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, অটোমোবাইল, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় এবং সৌর পার্কসহ বেশ কয়েকটি শিল্পের ওপর গুরুত্ব দেবে।
যে ৭ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই দক্ষ জনবলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, তা হল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর (বিএসএমএসএন), বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (জাপানি ইজেড), বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল মেঘনা, আবদুল মোনেম, বে, সিরাজগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ।
ইউসুফ হারুন আরও জানান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এতে সহযোগিতা করবে।
দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে বেসরকারি বিনিয়োগ ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা (প্রিড) প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পের অংশ মানব সম্পদ উন্নয়ন বাবদ আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২৭ কোটি টাকা।
২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ নিয়ে ২০২১ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়।