পাঠ্যবইয়ে লেখা কপির দায় স্বীকার করলেন জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইটের বিষয়বস্তু হুবহু কপি করে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই 'অনুসন্ধানী পথ'-এ ব্যবহারের অভিযোগ স্বীকার করেছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান।
নতুন পাঠ্যক্রমের আলোকে বইটি সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত এ দুই বিশিষ্ট শিক্ষক বিষয়টির দায় স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে জাফর ইকবাল ও হাসিনা খান বলেন, সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বই 'অনুসন্ধানী পথ' নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন তাদের নজরে এসেছে।
বইয়ের নির্দিষ্ট অংশ এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখা তুলনা করে অভিযোগটি তাদের কাছে সত্য মনে হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, 'একটি পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এই সব লেখকের কাছ থেকেই একধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি।'
দায় স্বীকার করে পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে বলে জানান তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ এ বছর চালু করা হয়েছে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। 'কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে নেব এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।'
বইটি রচনার দায়িত্বপ্রাপ্ত লেখকরা হলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মোশতাক ইবনে আইয়ুব ও রনি বসাক। আর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।