হজের বিমান ভাড়া কমানো হবে না: বিমানের এমডি
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ সত্ত্বেও হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানো হবে না বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, 'ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, জেট ফুয়েলের মূল্যবৃদ্ধি এবং কর বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এ বছর হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৭হাজার টাকা।'
বিমানের এমডি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, হজ এজেন্সি ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর হজে বিমান ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
শফিউল বলেন, হজ প্যাকেজে শুধু বিমান ভাড়া নয়, ১৬ ধরনের খরচ রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বিমান ভাড়া ২ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও সবার সুপারিশে তা আরও কমানো হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোনোভাবেই বিমান ভাড়া বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি নির্ধারণ করা হয়নি।'
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রথম হজ ফ্লাইট ২১ মে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে, ফিরতি হজ ফ্লাইট ২ আগস্ট শুরু হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৮৭ এয়ারক্রাফট দিয়ে ১৫৯টি প্রাক-হজ ফ্লাইট এবং ১৫২টি হজ-পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের অনিয়ম ও সাফল্যসহ বিভিন্ন বিষয়েও কথা বলেন বিমানের এমডি।
এবার হজ প্যাকেজ আগের বছরের চেয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা বেড়েছে। এ বছর কোরবানি বাদে বেসরকারি সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হজযাত্রার খরচ প্রায় ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ এবং সময়সীমা চারবার বাড়ানো সত্ত্বেও চড়া ব্যয়ের কারণে ২০২৩ সালে দেশের ১ লাখ ২৭ হাজার কোটার বিপরীতে হজযাত্রীদের নিবন্ধন হচ্ছে ধীরগতিতে।
হজ এজেন্সি ও ট্রাভেল এজেন্টদের মতে, বাংলাদেশ ও সৌদি আরব উভয়দিকেই বেশি খরচের কারণে ব্যয় বেড়েছে।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজের ব্যয় বাড়ার জন্য মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেওয়া চড়া বিমান ভাড়াকে দায়ী করেছে।