বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় ৭৭৮টি নমুনার মধ্যে ১৪টি নিম্নমানের পণ্য শনাক্ত
ফ্রুট ড্রিংকস, ফ্রুট সিরাপ, মুড়ি, খেজুর, সফট ড্রিংকস পাউডার, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, পাস্তুরিত দুধ, নুডুলস, লাচ্ছা সেমাই, পানি সহ বিভিন্ন পণ্যের ৭৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ১৪টি নিম্নমানের পণ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন। রমজান মাসে ভেজাল পণ্য বিক্রি প্রতিরোধে প্রতিবছরের মতো বিএসটিআই এসব পণ্য পরীক্ষা করে।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা জানান, আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত খোলাবাজারের বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য থেকে বিএসটিআই'র সার্ভেইল্যান্স টিম ৮২৬টি নমুনা সংগ্রহ করে। এগুলো বিএসটিআই'র নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ৭৭৪টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং এর মধ্যে মানসম্পন্ন নমুনা পাওয়া গেছে ৭৬০টি। বাকি ১৪টি নমুনায় নিম্নমান পরিলক্ষিত হয়েছে এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএসটিআই।
প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান মাসে বিএসটিআই তাদের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানান শিল্প সচিব। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে ক্রয় ও সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য বিএসটিআই তৎপর থাকবে।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের যে তারতম্য হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে। ওদেরকেও জরিমানা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিদিন ঢাকায় যেসব মুরগি আসে সেগুলোর মধ্যে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার মুরগি মারা যায়। এই মুরগিগুলো কোথাও ফেলা হয় না, তাহলে যায় কোথায়? বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে এগুলো বিক্রি করা হয়।'
'এজন্য আমরা কসাইখানার কাজকর্মের উপর নজরদারি করছি, বাজারগুলোতে নজরদারি করছি; হালাল প্রক্রিয়ায় এসব যেন জবাই করা হয় সে বিষয়গুলো দেখতে হবে আমাদের', জানান প্রতিমন্ত্রী।
একইভাবে বিদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলোও হালাল কি-না সেটাও দেখতে হবে। যেসব দেশ হালাল পণ্য বিক্রি করে সেখান থেকে আমদানি করতে হবে। আবার হালাল পণ্যের রপ্তানির চাহিদাও রয়েছে।
৫০টি রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বিপরীতে দেওয়া হলো হালাল সার্টিফিকেট
বেঙ্গল মিট, প্রাণ এগ্রো, রেনাটা, এমারেলড অয়েল সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ৫০টির মতো পণ্যের বিপরীতে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান করেছে বিএসটিআই। প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে এ সার্টিফিকেট তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
বিশ্বব্যাপী হালার পণ্যের একটা বড় রপ্তানি বাজার রয়েছে। এই বাজারে পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বিএসটিআই পণ্যের বিপরীতে হালাল সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করেছে।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, 'বিদেশে হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিএসটিআই পণ্যের হালাল সনদ প্রদান শুরু করছে।'