২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ স্বীকৃতি দাবি করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদকর্তৃক গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পর দিনটি 'গণহত্যা দিবস' হিসাবে পালিত হচ্ছে।
এর আগে, গণহত্যার পূর্বাভাস, প্রতিরোধ ও বন্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সংস্থা জেনোসাইড ওয়াচ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত এ গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকীর স্মরণে একটি ঘোষণা জারি করে।
এদিকে, বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রেকর্ড করা রেডিও ও টেলিভিশন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আসুন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যথিত করে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শান্তির নীতি অনুসরণ করি।"
শেখ হাসিনা তার বাণীতে দেশ-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, "জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি এবং পাই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।"
তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সালাম জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।
'বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ'– উল্লেখ করে তিনি তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।