চট্টগ্রাম বন্দরের শিপ হ্যান্ডেলিংয়ে নতুন অপারেটর নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসের জন্য নতুন শিপ হ্যান্ডেলিং অপারেটর নিয়োগে (লাইসেন্স) বন্দর কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তে ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের যৌথ বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।
বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবরে নির্দেশ দেন আদালত।
এস.টি. এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারেক কামালের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দিয়েছেন।
আবেদনকারীর পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী এডভোকেট আবির আব্বাস চৌধুরী টিবিএসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিচারক শুনানী শেষে ২৭ এপ্রিল রুলনিশি জারি করে বলে জানান তিনি।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর ট্রাফিক, সেক্রেটারি এবং বন্দরের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট করেন তারেক কামাল।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া, বহির্নোঙ্গর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে দেশি/বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিং এর নতুন অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এডভোকেট আবির আব্বাস চৌধুরী বলেন, এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমের নিয়মাবলী (কার্গো ও কন্টেইনার)-এর প্রবিধানমালা ও এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ করা হয়নি।
এর প্রেক্ষিতে এস. টি. এন্টারপ্রাইজ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে।