চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিশৃঙ্খলা
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগের দু'পক্ষ। এছাড়া সমাবেশে যোগ দেওয়া অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের নিজ নিজ গ্রুপের নেতার পক্ষে স্লোগান দেওয়া, ব্যানার প্রদর্শনেই ব্যস্ত ছিলেন বেশি।
রোববার (২৮ মে) নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন বক্তব্য দেওয়ার সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন ময়দানে থাকা নেতাকর্মীরা। তখন বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, "আপনারা সবাই শুনেন। মন দিয়ে শুনেন। আজ এখানে এসেছেন, শুনতে হবে। শুনে এসব মানুষকে বলতে হবে।"
এসময় যুবলীগ নেতা আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং ওমরগণি এমইএস কলেজ ইউনিট ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থকরা সামনের সারিতে বসা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
জনসভাস্থলে শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি ব্যারিকেড স্থাপন করা হলেও যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারীরা সভা মঞ্চের মুখের গেটটি খুলে ব্যারিকেডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। মঞ্চে নেতাদের উপস্থিতিতেই এভাবে বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হন সমর্থকরা।
এরপর বিকেল ৫.৪০-এর দিকে আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং ওয়াসিম উদ্দিনের সমর্থকরা একে অন্যের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকেন।
মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের জন্য মঞ্চের বাম পাশের নির্ধারিত জয়গাটিও মিছিল নিয়ে এসে দখলে নেন ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।