ভার্চুয়ালি দেখা যাবে দক্ষিণ সিটির আজিমপুর কবরস্থান
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আজিমপুর কবরস্থান এখন থেকে ভার্চুয়াল ভ্রমণ করা যাবে। একইসঙ্গে দাফনকৃতদের তথ্যভান্ডারও পাওয়া যাবে অ্যাপসের মাধ্যমে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেল এ ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা করবে।
সোমবার (১০ জুলাই) ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনার gms.dscc.gov.bd - ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এদিন ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা ছাড়া্ সম্পত্তি তথ্যভান্ডার ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার এবং স্মার্ট মামলা ব্যবস্থাপনা অ্যাপসের উদ্বোধন করেন তিনি।
ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে আজিমপুর কবরস্থানকে নিয়ে করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আজিমপুর গোরস্থানে দাফনকৃতদের তথ্যভান্ডার তৈরী করার কাজ চলমান। এখান থেকে দাফন সনদ সংগ্রহ করা যাবে। কবরস্থান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি এই সফটওয়্যার থেকে পাওয়া যাবে।
ধারণা করা হয়, সপ্তদশ শতাব্দীতে ঢাকা শহরের পত্তনের সমসময়ে এ গোরস্থানের সূচনা। এখানে শায়িত আছেন বায়ান্নর ভাষাশহীদ-সহ আরও অনেক কৃতী সন্তান। আজও নগরবাসীর মরদেহ প্রতিনিয়ত এখানে সমাহিত হচ্ছে। ডিএসসিসির আধুনিকায়ন কার্যক্রমের ফলে ৭৪ দশমিক ৪২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী এ কবরস্থানের পুরনো দৃশ্যপট অনেকটাই বদলেছে।
আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এক হাজার ৬০০ মিটার দৃশ্যমান সীমানা দেয়াল রয়েছে। এরমধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে আছে কাঁচের ৩২০ মিটার সীমানা। যেকারণে বাইরে থেকে কবরগুলো সহজেই চোখে পড়ে। রয়েছে প্রতি দুই সারি কবরের পর পর একটি করে চার ফুট চওড়া হাঁটাপথ। এমন ১৬৮টি লম্বা হাঁটাপথ রয়েছে। পথগুলো বিশেষ ঢালাইয়ের মাধ্যমে পাকা করা হয়েছে। এর নিচেই রাখা হয়েছে, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন। ফলে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও, আগের মতো আর পানি জমবে না। এটি সাজাতে ব্যবহার হয়েছে বিশেষ ধরনের সিরামিক ইট।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়েব পোর্টাল www.dscc.gov.bd অথবা সরাসরি gms.dscc.gov.bd এই লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে।
সম্পত্তি তথ্য ভান্ডার ব্যবস্থাপনা:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে- সম্পত্তি তথ্যভান্ডার। এই সফটওয়্যার থেকে সম্পত্তি বিভাগ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল স্থাবর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা করতে পারবে।
মামলা ব্যবস্থাপনা অ্যাপ:
এই অ্যাপটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইন বিভাগের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাদসিক এর আইন বিভাগ মামলা সংক্রান্ত নথি, উপাদান ইত্যাদি সহজে দেখতে ও সংরক্ষণ করতে পারবে। আইনজীবীরা মামলার পরবর্তী শুনানির প্রজ্ঞাপন যথাসময়ে নোটিফিকেশন পাবেন, মামলা সংক্রান্ত আইনজীবী মামলার প্রয়োজনীয় নথি, তথ্যাদি সহজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ফলে হারিয়ে বা নষ্ট হবার ঝুঁকি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।