কুমিল্লায় একই স্থানে হঠাৎ ১৬টি নতুন কবর, এলাকায় চাঞ্চল্য
কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর সদরের নিউমার্কেটস্থ মোল্লা বাড়ির পুকুর পাড়ের গোরস্থানের পাশে হাঠাৎ ১৬টি নতুন কবর দেখা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় রমিজ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৬টি নতুন কবর এবং কবরের ভেতরের মানুষদের পরিচয় নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন জানান। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আহ্বায়ক, পৌরসভার উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে সদস্য করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'বিষয়টা স্পর্শকাতর, তাই এসিল্যান্ডকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।'
দেবিদ্বার নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল লতিফ মোল্লা জানান, তিনি প্রায় ৪০ বছর আগে দেবিদ্বার নিউমার্কেট মোল্লা বাড়ির পুকুর পাড়ে বাঁশঝাড়ের জমি কিনে মার্কেট তৈরি করে ব্যবসা করছেন। তার মার্কেটের পাশে হঠাৎ এতগুলো নতুন কবর দেখে তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, 'কারা মারা গেলেন, কারা কবর দিলেন; জানাজা, মৃত্যুর বিষয়ে প্রচার- প্রচারণার সংবাদও পাইনি।'
দেবিদ্বার মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা রমিজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, 'আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর নির্দিষ্ট করা আছে। গোরস্থানের পাশে আমার প্রায় ২ শতাংশ জমি রয়েছে। এ জমির ওপরে থাকা বাঁশঝাড়টি প্রায় ৫০ বছর আগে কেটে পরিষ্কার করে রেখেছি। তাছাড়া আগে এখানে কোনো কবর ছিল না। এরইমধ্যে কে বা কারা আমার জমির ওপরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ওই জমিতে সারি দিয়ে ১৬টি নতুন কবর তৈরি করে রেখেছে। আমার ৬৫ বছর বয়সে গোরস্থানের বাইরে এ জমিতে কাউকে কবর দিতে দেখিনি, বাড়ির মুরুব্বিরাও দেখেননি। নতুন কবর এবং কবরের ভেতরের মানুষগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।'
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ কবরের রহস্য উদঘাটনে ইউএনও তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।'