'এশিয়ার নোবেল' খ্যাত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন জাগোর প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ
এ বছরের র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদর্শী প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ। 'ইমারজেন্ট লিডারশিপ' ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
'এশিয়ার নোবেল' হিসেবে খ্যাত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার জনসেবা থেকে শুরু করে সামাজিক উদ্ভাবন পর্যন্ত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়।
ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি র্যামন ম্যাগসেসে'র স্মৃতি ও সম্মানে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার। এ পুরস্কার এশিয়ার অঞ্চলগুলোকে প্রভাবিত করা এশীয় ব্যক্তিদের সততা, সাহস এবং নিঃস্বার্থ সেবার মূল্য উদযাপনের জন্য প্রতিষ্ঠিত।
করভি রাখসান্দের সাথে এ বছর সম্মানজনক এই পুরস্কার পেয়েছেন আরও তিনজন।
তারা হলেন— ভারতের রবি কান্নান আর., পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল–ফেরের।
২০০৭ সালে ঢাকার রায়েরবাজার বস্তিতে একটি ভাড়া রুমে মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় জাগো ফাউন্ডেশনের যাত্রা। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে, সরকার-স্বীকৃত, ইংরেজি-ভাষায় শিক্ষা দেয় ফাউন্ডেশনটি।
সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যকলাপের জন্য করভি রাখসান্দ আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১০ সালে প্রিন্স চার্লসের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক বিভাগে মোজাইক ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড; ২০১৩ সালে কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড; সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক ২০১৭ সালে অ্যান্ড্রু ই রাইস অনারেবল মেনশন অ্যাওয়ার্ড; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যুক্তরাজ্য কর্তৃক ২০২১ সালে কমনওয়েলথ পয়েন্ট অফ লাইট অ্যাওয়ার্ড; ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক শেখ হাসিনা যুব স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার- রয়েছে তার প্রাপ্তির তালিকায়।
করভি রাখসান্দের নেতৃত্বে জাগো ফাউন্ডেশন ২০১১ সালে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রাম শুরু করে। বর্তমানে এ প্রোগ্রামের অধীনে ৫০ হাজার লিডার সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে মোট ১২ জন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন।
তারা হলেন—সমাজসেবী তহরুন্নেসা আবদুল্লাহ (১৯৭৮), ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৮০), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (১৯৮৪), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (১৯৮৫), ক্যাথলিক ধর্মযাজক রিচার্ড উইলিয়াম টিম (১৯৮৭), দিদার কমপ্রিহেন্সিভ ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৯৮৮), বেসরকারি সংগঠন বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ (১৯৯৯), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (২০০৪), প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান (২০০৫), বেসরকারি সংগঠন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান (২০১০), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (২০১২)।
করভি রাখসান্দের আগে সর্বশেষ এ পুরস্কার পান বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী (২০২১)।