ফ্রান্সের কাছ থেকে ১০টি এয়ারবাস বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ: মাখোঁ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি বিমান কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ইউরোপীয় বিমান প্রস্তুতকারী কোম্পানিটির সঙ্গে এই প্রথম চুক্তি করছে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিমান বহরে মূলত বোয়িং কোম্পানির বিমানই বেশি ব্যবহার করা হয়।
ফরাসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ারবাসের এ৩৫০ ওয়াইডবডি বিমান কিনবে বাংলাদেশ। যদিও চুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এসব বিমান পরিচালনা করবে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মাখোঁ এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইউরোপীয় বিমান শিল্পের ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার এই প্রতিশ্রুতিটি গুরুত্বপূর্ণ।'
৫১ বছর বয়সি বিমান বাংলাদেশের বহরে ২০টির বেশি উড়োজাহাজ রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই বোয়িং বিমান। বিমান বাংলাদেশের বহরে থাকা অর্ধেকের বেশি বিমানই ওয়াইবডি এয়ারক্রাফট; আর কিছু আছে ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রপস।
বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে দুটি এয়ারবাস বিমান অর্ডার করবে।
মাহবুব আলী বলেন, 'কয়েক ধাপে ১০টি এয়ারক্রাফট চেয়েছি আমরা। কারিগরি কমিটি এখন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। নতুন ও পুরনো উভয় রুটে এসব এয়ারক্রাফট চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং ও এয়ারবাস উভয়ের বিমান আছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, একটাও এয়ারবাস নেই।'
করোনা মহামারির পর ভ্রমণ বাড়ার কারণে বাংলাদেশ আরও ওয়াইডবডি এয়ারক্রাফট কিনতে চায়। ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, কানাডাসহ বিশ্বের ২০টি গন্তব্যে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চলে।
নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর গতকাল বাংলাদেশ সফরে আসেন ইমানুয়েল মাখোঁ। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় শক্তিগুলো যখন প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন মাঝারি আকার ও সক্ষমতার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার কৌশল নিয়েছে ফ্রান্স। মাখোঁর ঢাকা সফরও সে কৌশলের অংশ।
রোববার রাতে ঢাকায় এসে মাখোঁ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, 'এই অঞ্চল এখন নতুন সাম্রাজ্যবাদের মুখে, তাই আমরা বিকল্প একটি পথ প্রস্তাব করতে চাই। বন্ধু দেশগুলোর স্বাধীনতা ও কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করাকে আমাদের সব কৌশলে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সার্বভৌম নীতি গ্রহণের স্বাধীনতা পায়।'