পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে আসা ৬৯ বাংলাদেশির বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সিআইডি: হাইকোর্টকে দুদক
বহুল আলোচিত পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা ৬৯ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে ক্রিমিনাল পুলিশের ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। হাইকোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত রিটের ওপর ধারাবাহিক শুনানিতে হাইকোর্টকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি আদালতকে বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের সংক্রান্ত নথি দুদকের কাছ থেকে সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে ছয়টি যৌথ অুনসন্ধান টিম এই কাজ করছে।
খুরশীদ আলম খান টিবিএসকে বলেন, এই তথ্য আপতত আদালতে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত এখনো দিন ধার্য করেন নি। দুই/এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে দিন ধার্য করবেন আদালত। পরবর্তীতে শুনানিতে হয়তো এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেন আদালত।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ৬৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে দাখিল করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, "আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ বিভিন্ন সংস্থাকে ফাঁস হওয়া আর্থিক কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ব্যক্তি ও সংস্থার নাম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহ করতে সহায়তা করেছি।"
এর আগে গত বছর ৪৩ ব্যক্তি–ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে ওই তালিকার ওপর শুনানি করে পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সেই প্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি বিএফআইইউ ৬৯ জনের তালিকা উপস্থাপন করে।