পানগাঁও এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা ১২ কন্টেইনার আবারও ডুবে গেল
ডুবে যাওয়া পানগাঁও এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনার আবার ডুবে গেছে।
ভাসানচরে জাহাজ থেকে উদ্ধারের পর বার্জে করে বন্দর এলাকায় নিয়ে আসা হচ্ছিলো সেগুলো। বৃহস্পতিবার রাতে লালদিয়ার চর সংলগ্ন কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৪ নম্বর খালে কন্টেইনার নিয়ে টারমিনেটর নামের ক্রেন বার্জটি ডুবে যায়।
এরপর গত দুই দিন পার হলেও রোববার (১ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত সবগুলো কন্টেইনারসহ বার্জটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সি গ্লোরি শিপিংয়ের ম্যানেজার মইনুল হোসেন বলেন, '১২টি কন্টেইনার নিয়ে বার্জটি ডুবে যাওয়ার পর আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনারগুলো উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত ৫টি কন্টেইনার উদ্ধার করা হয়েছে।'
তিনি আরো বলেন, 'বার্জটি এখনও পানির নিচে আছে। অন্য একটি বার্জ এনে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ডুবে যাওয়া বার্জটি দ্রুত উদ্ধারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ভাসানচর থেকে বাকি কন্টেইনারগুলো শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসা হবে।'
এর আগে গত ৬ জুলাই বন্দর থেকে পানগাঁও যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের ভাসানচর এলাকার সন্দ্বীপ চ্যানেলে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে 'পানগাঁও এক্সপ্রেস' নামের জাহাজটি। প্রবল ঢেউয়ের মুখে পানি ঢুকতে শুরু করলে প্রথম তিনটি কন্টেইনার সাগরে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে ৬৯ টি কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি কাত হয়ে থাকে এবং এক পর্যায়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২৫ থেকে ২৬ জন আমদানিকারকের ৭২টি কন্টেইনারে ৯৬ টিইউস আমদানি পণ্য ছিল। এর মধ্যে ডুবে যাওয়ার সময় তিনটি কন্টেইনার ভেসে যায়।
এরপর তিন মাস পার হতে চললেও পানগাঁও এক্সপ্রেস জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে ডুবে যাওয়া ২৮টি কন্টেইনার উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে উদ্ধার হওয়া ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনার বন্দর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।
এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া বার্জটি দ্রুত উদ্ধার করতে সি গ্লোরি শিপিংকে নির্দেশনা দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সকালে নোটিশ জারি করে ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকা অতিক্রম করার সময় নাবিকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের অনুরোধ জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
একইসাথে পানগাঁও এক্সপ্রেস অপারেটর সি গ্লোরি শিপিংকে ডুবে যাওয়া কনটেইটারসহ বার্জ উদ্ধারে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়।