হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি, স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ।
সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লাঠি হাতে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতাকর্মীকে।
সমাবেশে বক্তব্যে যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, "জনগনের জান মালের নিরাপত্তা ব্যাঘাত ঘটলে যুবলীগ ঘরে বসে থাকবে না।"
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "সৎ সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুন। শেখ হাসিনা কখনও নির্বাচনকে ভয় পান না।"
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, "নির্বাচন ও আন্দোলন দুটোর জন্যই ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিতে হবে। ষড়যন্ত্রকারিদের মোকাবেলা করতে হবে।"
সকাল ১০টার দিকে সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া টিবিএসকে বলেন, "নির্বাচন কমিশন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।"
তিনি নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, "জামায়াত দেশে নৈরাজ্য করার চেষ্টা করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো আমরা।"
এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বাঁশ ও কাঠের পাটাতন দিয়ে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে গুলিস্তানের জিপিও মোড় থেকে বায়তুল মোকাররমের দিকের রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। পুলিশের পর্যাপ্ত উপস্থিতি দেখা গেছে এ এলাকায়। নেতা-কর্মী-সমর্থকদের রাস্তার ওপর বসে থাকতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বাংলামোটর হয়ে সমাবেশের দিকে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। বাসে ও ট্রাকে করেও যান প্রচুর নেতাকর্মী।
বাংলামোটর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডান পাশের উল্টো রাস্তায় সমাবেশের দিকে যায় আওয়ামী লীগের মিছিল ও নেতাকর্মীদের বহন করা গাড়িগুলো।
কারওয়ান বাজার ও বাংলামোটরের বামে মগবাজারের দিকে ডাইভার্ট করা হয় গণপরিবহন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশে আগত নেতা কর্মীদের উৎসাহ দিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের উপস্থাপনায় শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন লোকসংগীত শিল্পী লিপি সরকার।
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন ঢাকা মহানগর, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন স্থান থেকে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের ৫ জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিবে বলে জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, "বিএনপি-জামায়াত তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করেছে। আমাদের এটা প্রতিহত করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের মাঠে থাকতে হবে।"
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।