কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
কক্সবাজারে ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত চোখ ধাঁধানো রেলস্টেশনটি সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আজ উদ্বোধন হওয়া এই রেলস্টেশনটি জনসাধারণের বিনোদনের গন্তব্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল রেললাইন শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হলো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়।
১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটের রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে; স্টেশনটিতে একটি ৬তলা ভবন এবং একটি বড় ঝিনুক আকৃতির ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী আইকনিক স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেশনটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩টি বড় জায়গা রয়েছে। স্টেশনটিতে যে সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে- টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিং মল, রেস্তোঁরা, লাগেজ লকার, শিশু যত্ন কেন্দ্র, মসজিদ, এসকেলেটর, এটিএম বুথ, আবাসিক হোটেল, পোস্ট অফিস এবং পর্যটন তথ্য বুথ।
পর্যটন শহরে লাগেজ লকার একটি আকর্ষণীয় সেবা, কারণ যে কেউ স্টেশনে পণ্য রেখে একদিনের জন্য সমুদ্র সৈকত বা অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও, স্টেশনটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ। ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।