নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ঢাকায় নাশকতার চেষ্টা বেড়েছে: ডিএমপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকায় নাশকতার চেষ্টা বেড়েছে। তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বেশিরভাগ চেষ্টাই ব্যর্থও হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে ডিএমপি'র এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকাতে নাশকতার প্রয়াস বেড়েছে। কয়েকটি এলাকায় ককটেল ছুড়ে মেরেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
'নাশকতাকারীদের ব্যাপক চেষ্টার তুলনায়, বিএনপি-জামায়াতের চলতি দফা অবরোধের মধ্যে বাসে আগুন দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতার ঘটনা অনেকটা (পুলিশের তৎপরতায়) কমেছে।'
অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল ভাষানটেকে একটি নির্মানাধীন ভবনে বিস্ফোরক সামগ্রীসহ জমায়েত হওয়া আটজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিএমপি সভা সমাবেশসহ ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে অনেক আন্তরিক। গত ৪ মাস ধরে ঢাকায় রাজনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডিএমপি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরক জাতীয় বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছি।
নাশকতার পরিকল্পনা ও নাশকতা করার সময় গত বুধবার রাতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকা থেকে আটজন, শাহআলী থেকে একজন ও শাহবাগ এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন– মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন জসিম, নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী ওরফে শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)।
এঁদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন জসিম রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গ্রেপ্তারকৃত বাকিরাও অবরোধ কর্মসূচির সমর্থক, তবে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।