সৈয়দ ইবরাহিমকে তাঁর নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিএনপি
বিএনপির ৩৫ দলীয় জোটের অন্যতম সদস্য দল- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে নিজ নির্বাচনী এলাকা হাটহাজারীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
এক বিবৃতিতে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, "বর্তমান সরকার অবৈধ। তা সত্ত্বেও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ইবরাহিম যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এহেন কর্মকাণ্ডে হাটহাজারীর সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। মেজর জেনারেল ইবরাহিম শেষ বয়সে এসে স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ লালসায় লালায়িত হয়ে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে এমন ঘৃণিত কাজ করেছেন।"
হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ, সদস্য সচিব গিয়াসউদ্দিন, পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মো. জাকের হোসেন সদস্য সচিব অহিদুল আলমসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, "বেঈমানি করা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের মজ্জাগত ও স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার। তিনি ১৯৯৬ সালে জেনারেল নাসিমের অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিলেন এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস-কর্তৃক মেজর জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খানের সাথে বরখাস্ত হন। সেই জেনারেল হেলাল মোর্শেদ খান এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৮ সালে বিএনপি নিজ দলের ১০০ ভাগ যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম এর মতো একজন ব্যক্তিকে জোটকে সম্মান দেখিয়ে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করে এবং বিএনপির সকল ইউনিট তার পক্ষে কাজ করে। কিন্তু তখনো তিনি সে সময়ের মহাজোট প্রার্থীর কাছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে হাটহাজারী বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বহু নেতা-কর্মী হামলা-মামলা এবং নির্যাতনের শিকার হলেও– ইবরাহিম একবারের জন্যেও কারো খোঁজ খবর নেননি, সহায়তা তো অনেক দূরের কথা। তাই দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলা যায় মোনাফেকি এবং বেঈমানি উনার মজ্জাগত স্বভাব।"
এর আগে বুধবার ইবরাহিম কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (কামরুজ্জামান) এবং জাতীয় পার্টি (এম এ মান্নান)-র সাথে নতুন জোট যুক্তফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেন। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ঘোষণাকালে জানানো হয়, নতুন জোটের দলগুলো যার যার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।