সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল ইজারা প্রক্রিয়া স্থগিত করলো হাইকোর্ট
নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতে বালুমহাল ইজারা দরপত্র সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।
একইসাথে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস আদালতের এই আদেশ নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনকে অবহিত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) একটি আবেদনের ওপর শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ আদেশ দেন।
বেলা জানায়, সংগঠনটি অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন থেকে সোমেশ্বরী নদী রক্ষায় ২০১৫ সালে বেলা একটি রিট করে। সেই রিটের প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ইজারা ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
কিন্তু নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে সোমেশ্বরী নদীতে মামলাভুক্ত পাঁচটি বালুমহাল ১৪৩১ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারার উদ্দেশ্যে গত ২৮ জানুয়ারি নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি।
বেলা জানায়, বর্তমানে বালুমহালগুলো থেকে জনাব মোস্তাক আহমেদ রুহীর মালিকানাধীন মেসার্স রুহী এন্টারপ্রাইজ এবং জনাব মো. জাহাঙ্গির আলমের মালিকানাধীন মেসার্স জিহান এন্টারপ্রাইজ ইজারাগ্রহীতা হিসেবে বালু উত্তোলন করছে।
২০১৫ সালে দায়ের করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত ঐ বছরের ২৯ জুলাই তারিখে বালু উত্তোলন ও ইজারার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। একইসাথে বালুমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চান আদালত। এছাড়াও সোমেশ্বরী নদীকে কেন পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চান আদালত।
বেলার আইনজীবীরা জানান, ওই আদেশ এখনো বলবৎ রয়েছে। এছাড়াও রুলের শুনানি পেন্ডিং রয়েছে হাইকোর্টে। এরমধ্যে নতুন করে বালুমহল ইজারা বন্ধে অবেদন করা হয়।
ভূমি সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নেত্রকোণার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।