কুমিল্লায় সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে সাবেক মেয়র সূচনার বিরুদ্ধে আবারও মামলা
কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহ্সীন বাহার সূচনার বিরুদ্ধে এবার কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে এ মামলা দায়ের করেন নগরীর দক্ষিণ চর্থা (তালতলা) এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া। মামলায় বাহার ও সূচনাসহ এজাহারনামীয় ২২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকালে নগরীর দক্ষিণ চর্থা (তালতলা) এলাকা থেকে মামলার বাদীসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে নগরীর কান্দিরপাড় আসছিল। এ সময় মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি বাহার ও তার মেয়ে সূচনার (সাবেক মেয়র) নির্দেশে বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মামলার অন্যান্য আসামিরা হামলা এবং গুলি চালায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে অনেককে আহত করা হয়।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহাম্মেদ নিয়াজ পাভেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সিটি কাউন্সিলর হাবিবুল আল আমিন সাদী, সরকার মাহমুদ জাবেদ, আবদুস ছাত্তার, সৈয়দ রায়হান আহাম্মদ, আবুল হাসান, কাউছারা বেগম সুমী, সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলম খান, ইউপি চেয়ারম্যান হাসান বাপ্পি রাফি, মোজাম্মেল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদসহ ২২৫জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, 'যাদের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, সরকার পতনের পর তাদের অনেকেই এখন এলাকায় নেই। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।'
এর আগে গত রোববার রাতে বাহার ও সূচনাসহ ৬২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাছুম মিয়া নামের এক হোটেল কর্মচারীকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়।