ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত
ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি।
২৪ আগস্ট এসব গেট খুলে দেওয়া হয়। ভারতের বিহারের গঙ্গায় পানির স্তর অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে বলে ভারত সরকারের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন।
তবে ফারাক্কার গেট খোলার জন্য এখনই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বা আদৌ হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, নিয়ন্ত্রিতভাবে ১০৯টি গেট থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
ভারত সরকারের ওই সূত্র আরও জানায়, 'এখানে নিয়ন্ত্রিত কথার অর্থ সব গেট একই উচ্চতায় খোলা হয়নি। কোথাও একটি গেটের ১০ বা ১২ ফুট খোলা হয়েছে, তো অন্য কোথাও গেট খোলা হয়েছে ৩ বা ৪ ফুট। ফলে সব গেট দিয়ে একই পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে না।' যাতে কোথাও বন্যা না হয়, সেটা মাথায় রেখেই এটা করা হচ্ছে বলে দাবি করে ওই সূত্র।
২৪ আগস্ট ফারাক্কার গেটগুলো খুলে দেওয়ার পর পানি ছাড়া শুরু হয়। তবে এতে গত দুই দিনে নদ-নদীতে উল্লেখযোগ্যভাবে পানি বাড়েনি বা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানান ভারতীয় ওই কর্মকর্তা।
এর প্রমাণ হিসেবে তিনি বলেন, 'জল বাড়লে পদ্মায় তা বাড়ার আগে মুর্শিদাবাদের উত্তরে ফারাক্কা ব্লক এবং শামসেরগঞ্জ ব্লক আংশিকভাবে ভেসে যেত, যা গত দুই দিনে হয়নি।' নিয়ন্ত্রিতভাবে পানি ছাড়ার কারণেই ফারাক্কার ভাটির দুই জেলায় পানি বাড়েনি বলে জানান তিনি।
তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিহারে গঙ্গায় যদি পানির মাত্রা বাড়তে থাকে, তবে আগামী কয়েক দিনে কী হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।