শ্রমবাজারে যারা সিন্ডিকেট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আসিফ নজরুল
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ-এর (বায়রা) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আর কোনোভাবে সিন্ডিকেট করতে দেওয়া হবে না। বরং অতীতে যারা সিন্ডিকেট করেছেন, তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।'
এর আগে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে ২ হাজার ৫০০ নিবন্ধিত এজেন্সির মধ্যে মাত্র ১০০টি এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছিল, যা সিন্ডিকেট নামে পরিচিত। বায়রার সদস্যরা জানান, কিছু এজেন্সির মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তারা মালয়েশিয়ায় লবিং করে শ্রমবাজারে আধিপত্য বিস্তার করে ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন, যা শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী।
মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল সিন্ডিকেটের বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আর কোনো নিদিষ্ট মেডিক্যাল সেন্টার নয়, ৩ হাজার টাকা মেডিক্যাল ফি দিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় অনুমোদিত সব মেডিক্যাল সেন্টার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারবে।
এছাড়াও বায়রা সদস্যদের বিরোধিতার কারণে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর শ্রেণিবিভাগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের দুইজন ও বায়রার দুইজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেবে।
এছাড়া রিক্রুটিং লাইসেন্সের জামানতের এফডিআর-এর লভ্যাংশর যাতে রিক্রুটিং লাইসেন্সের মালিকদের অনুকূলে থাকে, সে বিষয়ে সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশনা দেন আসিফ নজরুল।
সৌদি আরবের শ্রমবাজারে সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সৌদি দূতাবাসে সব লাইসেন্স অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
বায়রার নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'বায়রায় প্রশাসকের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে একটি কমিটি নিয়ে আসুন।'
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলেন তিনি।
সভায় বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ-উল-ইসলাম, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, খন্দকার ওভারসিজের মালিক খন্দকার আবু আশফাক, মোস্তফা মাহমুদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।