শুধু ঢাবিতে হামলা নয়, সারাদেশে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা হবে: সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ
জুলাইয়ের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সদস্যদের বিরুদ্ধে সারাদেশে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা দেরি করেছি, কিন্তু ছেড়ে দেই নাই। আমাদের ওপর, আমাদের বন্ধুদের ওপর হামলার ঘটনায় আজ যে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটি সারাদেশে চলমান থাকবে।"
গত ১৫ জুলাই আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, শেখ হাসিনা ও ওবায়েদুল কাদেরকে আসামি করে ৩৯১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৮০০-১০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আরেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার। মামলায় কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
হান্নান মাসুদ বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলা, উপজেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে মামলা দেওয়া হবে।"
যারা এখনো ঢাকার রাস্তায় মিছিল দিচ্ছে, তাদের প্রতিরোধ করতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি ছাত্রলীগকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
মামলার বাদী মাহিন সরকার জানান, ১৫ জুলাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় হামলার শিকায় হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গেলে সেখানেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
"ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করতেই আজ মামলা করেছি। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার জন্য মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে," বলেন মাহিন সরকার।
মামলর এজহার সূত্রে জানা যায়- ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শাহাবাগ থানার আওতাধীন বিভিন্নস্থানে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য সামনে থেকে মিছিল বের করলে মামলার তিন নম্বর আসামি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম নওফেলসহ অন্যান্য আসামিরা তাদের ওপর হামলা করে।
এ সময় শিক্ষার্থী বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা চালান হয়। এসময় বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে মারধর ও শ্লীলতাহানী করা হয়। আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা করেন আসমিরা।