ঢাকায় মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলা ও জুলাই-আগস্টের ঘটনা তদন্তের সম্পর্ক নেই: উপদেষ্টা
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক সাক্ষাৎ করেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ।
উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "বিষয়টা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এটিই প্রকৃত অবস্থান। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অফিস দেওয়া হবে বা অফিস দেওয়া হবে না-এটাও বলা হয়নি। আমরা বিষয়টা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি।"
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলা ও জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জাতিসংঘের অন্যান্য টিমের যে কাজ, তা সম্পর্কযুক্ত কিনা' প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আমি এ দুটাকে খুব রিলেটেড মনে করি না। আমরা একটা সুনির্দিষ্ট কাজে তাদেরকে আসার জন্য ইনভাইট করেছি।"
তিনি বলেন, "মানবাধিকারের অফিস দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, না দিলেই হবে না-এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। খুব অল্প কিছু দেশেই তাদের অফিস আছে। আমরা দেখছি যে, আমাদের প্রয়োজন আছে কি না।"
জুলাই-আগস্টের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের অগ্রগতির বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা প্রতিবেদন তৈরি করছে। তারা জানিয়েছে, প্রতিবেদন দিতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগবে।
এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সুবিধা নিশ্চিত করবেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ও তাঁর টিমকে যুক্তরাজ্যের ভিসার বিষয়ে সরকার সহযোগিতা করবে।