আগামীকাল ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সিপিবি-এর ‘শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ কর্মসূচি
আগামী ১ নভেম্বর থেকে 'শোষণ বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা' শুরু করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, গ্রাম শহরে রেশন ব্যবস্থা চালু, জনজীবনে নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা, পাচারের টাকা ফেরত আনা-দুর্নীতি-লুটপাট-দখলদারিত্ব বন্ধসহ শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের গণদাবি আদায়ে তারা এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সিপিবি-এর সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটেছে। সহস্রাধিক মানুষের বীরোচিত আত্মদানের বিনিময়ে দেশে এখন কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, আওয়ামী শাসনামলে জনগণের ওপর নিষ্ঠুর নিপীড়ন চালানো হয়েছিল। জনগণকে বঞ্চিত করা হয়েছিল ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে। এর মধ্য দিয়ে অবাধ লুটপাটের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়ে উঠেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়ের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে-দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এর জন্য কালক্ষেপণ না করে প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কল-কারখানা, ক্ষেত-খামার, পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-শহরে কমিউনিস্ট পার্টিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বাম-প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়ে তোলা এবং আগামীকাল ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে 'শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা' সফল করার জন্য সারাদেশের পার্টির কর্মী-সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম নারায়ণগঞ্জ ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ঢাকার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এছাড়া সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন জেলার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।